শেয়ার বাজারে পতন এবং নাজুক অর্থনীতিঃ মন্দা আসন্ন
করোনা ভাইরাসসহ অন্যান্য কারণে বাংলাদেশে বাজার অর্থনীতির মন্দাভাব দেখা দিতে পারে । শেয়ার বাজারে সূচকের পতন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি, রপ্তানি কমে যাওয়া, পোশাক শিল্পে উৎপাদন হ্রাস, কাঁচামালের অভাব, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভঙ্গুর অবস্থা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করলে এক বিরূপ আভাস পাওয়া যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ স্টক এক্সচেঞ্জে দরপতন অব্যাহত রয়েছে। সি . এন . এন এর রিপোর্টে বলা হয়েছে “বন্ধ হতে যাচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জের ট্রেডিং ফ্লোর। তবে ইলেকট্রনিক ট্রেডিং চালু থাকবে”। এছাড়া হোয়াইট হাউজ ইকোনোমিক কাউন্সিল-এর সাবেক অর্থনীতিবিদ কেভিন হ্যাসেট সি.এন . এন বিজনেস কে বলেছেন “বিশ্ব এক নতুন মন্দার দিকে যেতে পারে “। জে পি মর্গানের পূর্বাভাসেও একই ধরনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে এই মন্দা কাটিয়ে উঠাও সম্ভব বলে অনেকে ধারণা করছেন।

বৈশ্বিক অর্থনীতির এক বড় অংশীদার চীনের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক। রয়েছে বাণিজ্য ঘাটতিও। বাংলাদেশের প্রায় ৮৪ ভাগ রপ্তানি আয় আসে পোশাক শিল্প থেকে। পোশাক শিল্পের কাঁচামালের অধিকাংশই আসে চীন থেকে। করোনা ভাইরাসজনিত অচলাবস্থায় চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য হ্রাস পেয়েছে । যার দরুন রপ্তানিমুখী শিল্পোৎপাদন হ্রাস পাবে।
বাংলাদেশ থেকে অধিকাংশ রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও ইংল্যান্ডসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে চীনের পর ইউরোপে বিশেষ করে ইতালি, স্পেন, জার্মানি, এবং ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসের মারাত্মক সংক্রমণ ঘটেছে। তাই বাংলাদেশের রপ্তানি আয় সাময়িকভাবে কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশেও এই প্রভাব বলয়ের বাইরে নয়। বৈশ্বিক অর্থনীতির ছোঁয়া বাংলাদেশও লাগবে।